ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি?

What is data transmission method?

ডেটা ট্রান্সমিশন বলতে ডেটা পরিবহন বা ডেটা স্থানান্তরকে বুঝায়। যে পদ্ধতিতে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক ডিভাইস থেকে অন্য এক বা একাধিক ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলা হয়।

নিম্নে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথডের শ্রেণিবিভাগ নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো –

ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন (Serial data transmission)

২.সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন (Parallel data transmission)

১. অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন (Serial data transmission) :

প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে একটি বিটের পর অপর বিট চলাচল করলে তাকে অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন বলে। এই ট্রান্সমিশনে সুবিধা হলো যে এতে ডেটা চলাচলের জন্য একটি লাইন বা পথের প্রয়োজন হয়। অপরদিকে অসুবিধা হলো যে এ পদ্ধতিতে একই সময়ে একটি মাত্র বিট স্থানান্তরিত হয় তাই এটি ধীর গতিসম্পন্ন। উদাহরণ মডেম, মাউস ইত্যাদি যন্ত্রে সিরিয়াল বা অনুক্রম পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরিত হয়।

 অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড

সুবিধা:

১) এ পদ্বতীতে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য মাত্র একটি লাইন বা পথের প্রয়োজন হয়।

২) এতে খরচ কম।

৩) এই ডেটা ট্রান্সমিশন লাইন অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তৃত করা যায়।

৪) এক্ষেত্রে বিট সিনক্রোনাইজেশনের প্রয়োজন হয় না।

অসুবিধা :

১) এই ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্বতী ধীর গতি সম্পন্ন।

২) একই সময়ে একটি মাত্র বিট স্থানান্তরিত হয়।

২. সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন (Parallel data transmission):

এ পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সমান্তরালে ডেটা স্থানান্তরিত হয়। একবারে এ পদ্ধতিতে অনেকগুলো বিট স্থানান্তরিত হতে পারে তাই এটি দ্রুত গতিসম্পন্ন। এক্ষেত্র কিছুটা ব্যয়বহুল কারণ n বিট স্থানান্তরের জন্য n টি লাইন প্রয়োজন হয়। উদাহরণ প্যারালাল প্রিন্টার পোর্ট ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ দেওয়া যায়।

  সমান্তরাল ডটো ট্রান্সমশিন পদ্ধতি

সুবিধা :

১) সমান্তরাল ডটো ট্রান্সমশিন পদ্ধতি দ্রুত গতসিম্পন্ন।

২) ডেটা স্থানান্তরের দক্ষতা অনেক বেশী।

৩) একসাথে অনেক বিট চলাচল করতে পারে।

৪) ডেটা এক একটি শব্দ বা ওয়ার্ড অনুসারে স্থানান্তরিত হয়।

৫) স্বল্প দুরুত্বে এই ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্বতী অধিকতর কার্যকর।

অসুবিধা:

১) দুরুত্ব বেশী হলে এই ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্বতীর ব্যবহার অসম্ভব ।

২) প্রতিটি বিটের জন্য পৃথক পৃথক লাইন ব্যবহার করা হয় তাই এটি অত্যন্ত ব্যায় বহুল।

৩) দুরুত্ব বেশি হওয়ার কারনে এর বøক পালস অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে উঠে।



বিট সিনক্রোনাইজেশন

Bit synchronization

ডেটা কমিউনিকেশনে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তর হয় সিগন্যাল আকারে। অর্থাৎ সিগনাল বিট আকারে ডেটা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যায়। তাই উভয় কম্পিউটারে মধ্যে এমন একটি সমঝোতা থাকা দরকার যাতে সিগন্যাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। এই সমঝোতা বা সমন্বয়কে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।

এই সিনক্রোনাইজেশনের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

১. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission)

২. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronus Transmission)

৩. আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronus Transmission)





















Related term:

ডেটা কমিউনিকেশন কি

ব্যান্ড উইড্থ

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন